।। বাক্ ১২৫।। অংশুমান দে।।


চিত্রঋণ : Philip Guston



কবিতা নয়

১৭
চাঁদ ফুঁড়ে লোহার পাইপ চলে যাচ্ছে
অনেকের অনেক কিছুতে কিছু যায় আসেনা
আমি মদ খাচ্ছি
আমি মেদ খাচ্ছি
আর পাইপে চোখ রেখে বসে আছি
ওপারে কখনো ম্যাপ, ছাগল, যোনি, বরফ সবই
ক্ষীণ
মৃত্যুর পরে তুলসি চারার উপকারিতা যতটুকু।

১৮
মিনিম্যালিজম বলতে, দেখি মানুষের গায়ে
বিভৎস র্্যাশ
একদলা ম্যাগটের মতো সমাজ
লালাবীর্য সম্ভারে চিকচিক করে
কুকুর বাঁদর স্বর্গের পথে
খুঁজে পায় ভ্যানিশিং পয়েন্ট আমি মাত্র
কালো একটা ডট এঁকে বাকি ক্যানভাসে
সুইসাইড করি
নেগেটিভে

১৯
এমনকি আমি সুইসাইড বলতে কখনো
হত্যা মানিনি এমন নয়
হত্যা বললে রে রে করে বলবে অতীতকে
খুন করতে চাইছি
অর্থাৎ, স্মৃতিপথ
বা মজুত কিছু বিপক্ষ ধারনাকে যাদের বাস্তবে
ম্যাপ করলে পাওয়া যাবে একটা গ্যসিয়ান কার্ভ
যার গড় শূন্যে
ঠেসে থাকে অধিকাংশ মানুষ
হত্যা করতে দেয়না, সুইসাইড করতে হয়
নেগেটিভে

২০
অল্প হোঁচটেই খুলে যাবে চুল
সামনে মেয়েটি হেটে যায় মসৃণ রাস্তায়
অপেক্ষা করি আলগা খোঁপার হরফ
হুক্কার ধোঁয়ার আচমকা ডিফিউশন
মনে পড়ে কামাতুর পুরুষেরা প্রথমে
চুলের গোছ লক্ষ্য করে
চোখ সরানোর আগের মুহূর্তেই
এক বন্ধু ঘাড়ে ধাক্কা মেরে জিজ্ঞেস করে
কি রে কবিতা ভাবছিস?'

২১
মদ খেলেই আমাকে আমার ভাইয়ের মতো
দেখতে লাগে
বাবার, মায়ের মতো
আগুনে পুড়ে যাওয়া ছোটবেলার খেজুর গাছ
মদ খেলে আলিফ লায়লা, ছোটপিসি
গঙ্গোত্রি দেখতে পাই
আশেপাশে লোম
ছেড়ে আসা বাড়ি কোনোদিনই ফিরে যেতে ভালো লাগেনি
যাইনি। বরং, কল্কে ফেলে এসছি এমন
যার মুখে পৃথিবী পোড়া ছাই লেগে আছে..

২২
স্বপ্ন ফপ্ন আর ভাল্লাগেনা
মনে হয় একটা কালো রঙের পাঁয়তারা
সেখানে আজকাল সিগারেট নিভে যায়
শব্দের মানে বুঝতে পারিনা
কথা সাজাতে পারিনা
মাথা ফেটে বেরিয়ে আসে থ্রিডি হায়না
সারাবিশ্বের ডট দিয়ে তিন-তিনটের সেট বানিয়ে
ভাবতেই থাকি
অতএব নাকি সুতরাং 
ধুর!


No comments:

Post a Comment