চিত্রঋণ : Jean-Baptiste-Siméon Chardin |
কুশলের বর্নমালা
১।
বাইরে থেকে বুঝতে পারছি না
কুশল তার মায়ের পেটের ভিতরে কিসব
আঁকছে
আসলে ওর স্বপ্ন গুলো কে হয়তো একটা
নিজস্ব বর্নমালা দিচ্ছে
ও এখন সবে ছয়মাস। মায়ের পেটে আছে
২। রোজ রুনু যখন ঘুমিয়ে পড়ে, আমি কুশলের দিকে তাকিয়ে থাকি
কখন সে, একবার হাত বুলিয়ে বলবে এটা আমার তৈরী "অ"
পা বুলিয়ে বলবে এটা আমার বানানো
"আ"। আর বারবার কিক মারবে
আর বলবে এখানে কোন ঈশ্বরচন্দ্র
নেই, এখানে ঈশ্বর স্বয়ং আছে
৩। একদিন যখন কুশল খুব হাত বুলিয়ে
যাচ্ছে তার মায়ের পেটের ভিতরে, আমি সেই
হাতে হাত দিয়ে বলেছিলাম, বাবা কুশল এইসব বর্ণমালা ঐ গর্ভে
ফেলে রেখে এসো, তোমার জন্য আমি অ-এ অজগর নিয়ে বসে আছি।
৪। তারপর থেকে বেশকিছুদিন আর কুশল
তার মাকে আর লাথি মারে নি। আমি চিন্তায় পেটের কাছে গিয়ে বললাম, ভয় নেই কুশল তোমার গর্ভকালীন সমস্ত অ আ ই ঈ আমাকে
শেখাবে, আমি তোমাকে বিদ্যাসাগর শেখাবো। সে তারপর থেকে আর
লাথি মারা বন্ধ করে নি, শুধু প্রশ্ন করেছিল, বাবা, তাহলে আমাদের খাতা কোনটা হবে বা
ব্ল্যাকবোর্ড ....?
আমি বললাম, তোমায় মায়ের পেটের চামড়ার একটা দিক তোমার পৃষ্ঠা আর অন্য দিকটা আমার। তারপর থেকে আমি আর কুশল
রুনুর ঘুমের অপেক্ষায় থাকতাম। ও ঘুমিয়ে গেলে, শুরু হতো
আমাদের বর্ণের লেনদেন। আমাদের ভাষায় রাতজাগা সফর। আমাদের নরম ও মাংসল ব্ল্যাকবোর্ড....
মাঝখানে রইলো এক বিস্তীর্ণ মাতৃত্ব ....আমাদের আগামী
মঙ্গলকাব্যের প্রস্তুতি .....
ভাল লাগল। সুন্দর নির্মাণ।
ReplyDeleteঅনন্য অনুভূতির প্রকাশ
ReplyDelete