।। বাক্ ১২৫ ।। অভিজিৎ দত্ত ।।




চিত্রঋণ : Georges Braque



গাছ জানে, দেবী জানে

ফুল বিষয়ে কোনও আলোচনা কখনও করিনি
নালিশের ভয় আছে!
পুনঃ পুনঃ তুলি ফুল,ফুল জিয়োনো ঝাঁঝরিতে-
ফুল ছুঁয়ে যে পবিত্রতা,রেখে দিই গাছে
দিই যে গাছ ফুটিয়েছে ফুল, তাকে
ফুলের নগ্নতা বিষয়ে তোমাকে কখনো বলিনি
বলিনি কেন গাছ চুপ থাকে;
ফুল যখন ছিল ফুলকলি,তারপর বড় হতে হতে
শেষতম বড় হয়ে গ্যাছে,খোলা স্নানঘরে
তবু তারা নিজে দ্যাখেনি।
তখনও জানেনা ফুল বাসনা যে কী! জানে না
মৃত্যু কী; একদিন দুই দিন আরও
দেবীর পায়ে নিশ্চল ফুটে থাকে।
দেবী জানে সহস্র আধার, গাছে- বাঁধা ফুলই যে মন
গাছ জানে, সমস্ত গাছ দেবীর ওই রাতুল চরণ!
গাছ জানে দেবী জানে, গাছ হয় দেব হয় দেবী হয়
মানুষ কখন!




মশকের গান

মশার শাস্তি মশা নিজেকেই দ্যায়।
‘পোঁ’-ধ্বনি থেকে সমুৎপন্ন শঙ্খের
              কায়া যেই বড় হতে থাকে,
শঙ্খবাহন হয়ে শঙ্খটি রেখে আসতে চায়
নিদ্রিতের ক্ষমায়;
ধ্বনির অনন্তের থেকে চ্যাপ্টা অক্ষরের সীমায়
মুছে নেয় নিজেকে, তীব্র চপেটাঘাতে।

মশার শাস্তি মশাই নিজেকে দেয়।
গোরুর বিজ্ঞান জেনে গোরুরা ঘুমোয়।
সুখী ও অসুখী মানুষেরা শোনে গান যথারীতি-
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শানায় মস্তক কামারশালায়;
গানের ভিতরে সুঁচ রেখে মশা দ্যাখে-
শ্বাসের হাঁপর টেনে টেনে শানায় মস্তক
মানুষেরা নিদ্রার ভিতরে- শানায় দিনে-রাতে,
মশকের নিরুপায় নান্দনিক উৎপাতে।



2 comments:

  1. খুব ভালো কবিতা

    ReplyDelete
  2. সুন্দর ভাষ্য ও ভাব আছে।

    ReplyDelete