।। বাক্ ১২৫ ।। অরবিন্দ চক্রবর্তী ।।







চিত্রঋণ : Max Ernst











 ১.
সভ্যতা অথবা রাত্রি
রাত্রির রং বিবাহ। শাড়ি তার কাছে অর্থহীন। তবু মানুষের পাহারা আছে বলে গায়ে মাখে জবরজং। পরিসীমা পেরিয়ে যখন দরজা নাড়ে, হৃদয়ের প্রত্যন্ত জাপটে কোরাসে মালকোষ গায়, দেদার চুমু খায়। তখনই মহিমাখন্ডে নামে তামাটে সোহাগা। যে সাম্রাজ্যের দিকেই যান না কেন সন্ধ্যা তার ক্লাস-বান্ধবী। মিনতি নামে বুটিক বাতিক সত্ত্বেও মালবেরী বন অতি ঘুমপ্রিয়। সহসা শরীরে যার ক্ষুদেবার্তা বহমান। অতসব কা-স্বর শেষে আপনিই বলুন জতুগৃহ, পাজর থেকে কেন উচ্ছেদ হলো না সতীদাহ?




.
নিত্যবৃত্ত চ্যবনপ্রাশ

একগাদা পূর্ব-পশ্চিম নিয়ে হাজির।            ফুলস্কেপ কাগজ যা সয় না।
চাচ্ছিলাম ডট বসিয়ে সটকে পড়ি।            সেদিন কী যে বিতিকিচ্ছিরি!

বলো তো পুত্র, নিরক্ষ তুমি চাও কিনা?
দক্ষিণে শার্দুলদল মৃগশিশুর ওলান কেড়ে নিল। কেন?
আমি তো তোমার অংশ ধরে ডাকলাম।
লেজঝোলা আত্মা লুপ্ত নামে যুদ্ধ আহ্বান জানালো যে।
এবার বলো, ডায়নোসর কোনো দিন রক্তবান ডেকেছে?
যেদিন, সূর্য উঠল না, বিষাদ খেয়ে কৃষিতে গেল মানুষ।
রঙধনুর কোনো অভিযোগ এসেছে কী মরমে।
ফিরে এল মাংস হয়ে, দূরে হাসির কঙ্কাল পাওয়া গেছে স্যার!

পিথাগোরাস এল হাওয়াঘটিত আদেশে : চাইল দরজা।
খুলে দিলাম সকাল। হুহু করে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে আমার মুখে তুমি।
সোনালি বৈঠক হলো : একদল চাইল শান্তি। বিবাদীদলও চাইল একচ্ছত্র শান্তি।
ফিতা আনা হলো বাদামি। দাগকাটা হলো সুরেখা।

বিছানায় ফিরে দেখি, আমার জ্বরে কোনো সেলসিয়াস নেই।
কেবল একটাই দিগ্, একটাই উত্তরদেখো তো ভাই,
আমিই সেই ইবনে বতুতা কিনা? ভাস্কো দা বলেননিশ্চয়ই। নিশ্চয়ই।




৩.
যতিচিহ্ন বা দেহমন কাবাডি

প্রচারণার প্রসঙ্গ এলে গুপ্ত পাখার কাঠামো মনে পড়বে তোমার।
প্রত্যন্ত হয়ে আসে এমন জায়মান sound কোনো প্রবাহবাসরে
ফুটে উঠবার কথা নয়। তবু, ভাবো, জাহাজ নিভে যাচ্ছে।
তুমি প্রচন্ড ডুবুরি। বলগ উঠছে ঢেউয়ে। অথচ, অপর ডানায়
ট্যাটু আঁকা দেখছিলে অবিচল। কেউ বলল হ্যাঁ যে, তুমি
পুষ্পিত ট্যাটন, জবেদা খাতায় প্রখ্যাত হাবলা।

এবার
উরুধ্বনি ব্যবহার হলো কোনো কানাগলিতে। তুমি কলোনির সন্তান।
দিনকে দিন ধুলি আর বাইক উড়াও। গোল দেখলে সুডৌল বলার বেকশুর সাহস রাখো।
মাথার চুলে ভকভকে মেখে স্ট্যাম্প-ব্যাট-বল-গ্লাভস হাতে হকিস্টিকে যাচ্ছিলে এখানে।
দেহ ও মনে ছিল কাবাডি কাবাডি যতিচিহ্ন।

ফলে
সংস্কারপন্থি এক গানের খাতা হরদম বলল : মানুষ খসে গেলে ঝুলে থাকে অন্তরায়, অবরোহীতে।
প্রবীণতম জলাশয়ের কানে ফেলে তার ব্যক্ত ললিপপ। ঈশপ, ঈশপ নামে ডাকে সেই ঢ্যান্ঢনকে।
এসবের বাইরে যারা বিবাহমঙ্গলে দাঁড়ায় প্রজাপতির দোহাই নিয়ে। নৃবিজ্ঞান পড়বার অনুরোধ রইল সবার সমীপে।



৪.
আজীবন গুণধর শুভম

ঘটনা ঘিরে কেবল আয়ত শিরোনাম। দৈনিক। প্রাত্যহিক।
সান্ত¡নার বুকে আরও কিছু জিয়ারত। ঋণ আর প্রকল্প।

তুমি কখনো কোনো আবহ সারির অংশীজন হওনি? দেখেছ কি বুকের ভেতরে
ঝুরঝুর ধসে পড়ছে আগড়বাগড়, জিওল জাতের হাতছানি ফুল?

শোনো, দ্বিবীজপত্রী সফলা আমার। একদিন তোমার কাঁধে অনুস্বার রেখে
দাঁড়াব করযষ্ঠি, অচিন অরিমিত্র এক। তুমি, তোমার অমুক গমক,
আরসব মোর্চা মিলে আমাকে আহূত কোরো, অরিত্র মানো।

জানো নিশ্চয়, বন্ধন এমন এক অজিন, সকল জুয়াড়ি বসে ভাজ্য খেলে
আর চিন্তাচাষি খোঁজে তৈরি গাছের নিচে উপল বীজ।

বাতাস বেঁচে থাকে অঘোষ মাধ্যমে, ঘটমান আহ্নিকে।
হৃদিগণ দুঃখকে গুণন করে উল্লাস মারফত, কচিকাঁচার হুল্লোড়ে।




No comments:

Post a Comment