ইদানিং
বইটা সকাল থেকে খুঁজছি।
নেই।খাটের তলা সোফার মাথা.......
ফাল্গুনি রায় ভদ্রলোক কে ভালোবাসি
এদিকে তিনি গায়েব
সারা শরীরে ঘাম বিজ বিজে গরম
এত বৃষ্টির পরেও........
আজকাল গাণ্ডুর মতো লিখি
বুঝতে পারি
তবু শ্লা কলমের চুলকানি
সংসার টংসার ঘেঁটে ঘ
আসলে এদিকটায় প্রচুর ভগবান এসেছে
রাস্তায় ট্রেনে বাসে .........
ঠাসাঠাসি ভগবান
সেদিন একটা ভগবান আমাকে বলেছে
"কোবিতা লিখে ক'টাকা পাও?"
বলতে চেয়েছিলাম "তোর বাপের কী"
বলতে পারিনি ভদ্দরলোক বলে।
ভদ্দরলোকরা মাথা নীচু করে শোনে ।
প্রেম ,বিরহ,বিষণ্ণতার কথা টথা........
পাশের পাড়ায় কবিতা বিশ্বাসকে
ধর্ষণ করে
এখন কয়েদে ভগবান গুপ্ত।
এটা ঠিকই যা লিখতে চাই তা
লিখতে পারি না
হয়ত কখনও পারব।
ততদিন
আমি নিজের মতো থাকবো
ছোটোলোকের মতো থাকবো
ফাল্গুনি রায় বাবুকে চাইবো।
ভগবানদের জন্য
দরজায় লিখে রেখেছি
"ঘর খালি নেই"
শ্রীরাধিকা
আটখানা হতে হতে ছয়ে
এসে বিরতি
ডাকে সে
আহ্লাদ এখন সীমারেখায়
নির্দিষ্ট অবকাশে
চাঁদের গায়ে ব্র়ণ, রাত নয়-ছয়।
চিন্তামণি বসে বসে
বাঁশিতে
সুর তোলে আলোসে
আহ্লাদিনী
রাধিকার দুধেল গায়ে
রাতের দিকে জ্বর আসে
সীমারেখা টুকরো টুকরো হয়ে
আদরের পূর্নিমাতে ভাসে
ওই যে সমুদ্র পিয়াসী নারী !
শুষে নেবে তোমার যত
আ শৈশব
আদরে আদরে ছয় , আট নয়,
ষোলোকলা অবশেষে
রাধিকা যমুনার তীরে এসে কানু ভালোবাসে
তপ্ত উপত্যকা বরষায় সোহম হয়
বাঁধ ভেঙে ধানক্ষেতে
ওরা তারা জলে দুধে এক হয়
রঙিন স্বপ্নে আসে আটফুল আট রঙ
আমোদিনী
লগ্ন বুঝে বারো আনা দিয়ে দেয়।
শ্যামা আর রাধিকা কৃষ্ণকায়
মে়ঘ জলে ফিরে যায়, ফিরে
ফিরে আসে মোহ অভিলাষে॥
No comments:
Post a Comment