।। বাক্ ১২৫ ।। চয়ন দাশ ।।













নকল সিমেন্টের যুবতী

ছুটির ঘণ্টা বাজছে। ঘণ্টা , বাজছে।
তবে একজনও ছুটে বেরিয়ে আসছে না
জারুল গাছগুলোর
তলা থেকে। পাশ থেকে। উপর থেকে।
              বা
      
রে ঝড় উঠছে। হাওয়া দিচ্ছে।
মেঘ। মেঘ। মেঘ না! আকাশজুড়ে
                         ব্র  হ্ম  পু  ত্র
সূর্য দেখা যাচ্ছে না । দেখা যাচ্ছে
তবে কি রাত? ছায়া উড়ে যাচ্ছে। ছাতা উড়ে যাচ্ছে। রাত নয়, সন্ধ্যে।
সাদা কালো সাদা কালো সা-লো-কা-দা
কিছুটা ধূসর
ময়রার দোকান। শো-কেস ভর্তি
জল
কাগজের ঠোঙা হাওয়া ভরে
ফেটে যাচ্ছে সশব্দে।
ভয় পেয়ে কেঁপে উঠছে অশ্বত্থ
গাছ। না না হলুদ পাতাওয়ালা একটা গাছ
স্বরবর্ণ ঝরে পড়ছে
ব্যঞ্জনবর্ণ
য-ফলা, র-ফলা, একটা বিকৃত খন্ড ত

সাইকেল নেই। রাস্তা জুড়ে গড়িয়ে যাচ্ছে
বড়বড় সার্কেল।
ঠাকুমার তামার বালা জোড়া
সাদা ব্লাউজ। হুকে আটকে যাচ্ছে সুতো
বিদ্যুৎ,  ইলেকট্রিক-ঘণ্টা বাজছে।
শিফন শাড়ীর মত জল
নাভি
ভেসে যায়।

আমাদের হাতে কেবল ই আর ঈ
চালের কৌটোর ভিতর
ঠাকুমা হাঁটুমুড়ে পুড়ে যাওয়া নাভি সামলাচ্ছে।

জল এসে গেছে রাস্তার কলে
জল পড়ছে, কাঁপছে
জল ফুটছে










No comments:

Post a Comment