ডুম্স ডে’র বাঁদর
Dooms Day.
আজকে যে যা কর্ম করল তার ফলাফল তারা আর ভোগ করার সময় পাবে
না। কর্ম করলে ফল পেতেই হবে এ স্বতঃসিদ্ধান্ত আজ ভেঙ্গে যাবে। আজ আয়নায় ক্রমাগত
মুখের আদল পালটে যাচ্ছে পুরুষদের। কোন মানুষ আর কোন মানুষকে চিনতে পারছে না। পিছলে
পিছলে যাচ্ছে আয়নায় মানুষের মুখ তার ১
থেকে ৪০ অবধি যথেচ্ছ এগিয়ে পিছিয়ে ...গুঁড়িয়ে দিয়ে তার সেলফ আইডেন্টিটি... কাঁচা
পাকা কোন আমিই আজ আমিদের মুখের কাছে চেনা নয়। আজ প্রকৃতির লয় হবে তাই বোধহয় পুরুষ
আজ আবার বহু নিষ্ক্রিয় থেকে একক কৃষ্ণ... তাকে জবাবদিহি দিতে হবে আয়ান ঘোষেদের
কাছে।
আজ dooms day তাই
শেষবারের জন্য উন্মাদ যৌনতায় মেতে যেতে চায় পুরুষ কিন্তু কার সঙ্গে? সে যে জানে না
যে তার নারী কে? তার প্রিয়া মাতা ভগিনী সকলেই আজ ইন্দ্রিয়ানীরা অবশ হয়ে স্থির হয়ে
সম তে নিমগ্ন। আজ যে প্রকৃতি রমণ নয় মরণে ব্রতী! সে যে পুরুষও কি জানে সে কে? যার
মাধ্যমে নিজেকে সে চিনেছে সেই যে , বানিয়েছে তার পৌরুষ সম্ভোগ বহু শান্ত সৎ লাজুক হৃদয়ের তৃষ্ণার
উপর ট্যাক্স বসিয়ে... আজ সেই তার বিচ্ছিন্ন ইগোর মিনারের প্রতিটি স্ফটিক তার
মাতৃনামকে গিরগিটি বলে অসদ্বিম্ব বলে দুয়ো দেয়।
আর আজ যখন তার সেক্স করার সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষা সেই চরম
মুহূর্তে... যে তার চিরন্তন কামনা সে সেক্স করতে করতে মরবে...তখন সে আর নিজেকে
পুরুষ বলে পায় না... তার আত্মবিম্ব তাকে তার কাছে পুনর্বাঁদর বানিয়ে দেয়। তার থেকে
যৌনক্ষমতাই শুধু নয়, যৌনসত্তাও কেড়ে নেয়। বিনাশকালে সবচেয়ে বেশি যৌনঅতৃপ্ততা অনুভব
করবে ও তোমার হবে জন্তুজ অমানুষী অচেতন মৃত্যু, হে রমণীমোহন সুন্দর... তুমি আর
তোমার মুখ চিনতে পারবে না মৃত্যুকালে... হায় পাণ্ডুর রোগ ইহা পুরুষবিনাশী হাযৌনদের
যৌনপ্রতিবিপ্লব... প্রকৃতির লজ্জায় পাপস্খালন...
আজ তাই বাঁদরদের কমিউন... তাহাদের যৌথযৌনখামার... তারা আজ
সর্বশক্তিমান... তাদের ৮ সেকেন্ডীয় যৌন উত্তেজনা নিয়ে... জোর করে পুরুষদের mirror maze-এ ছেড়ে দিলে নিজে থেকেই পারার থেকেও তরল হয়ে গলে যাচ্ছে
পুরুষের মন বুদ্ধি চিত্ত অহংকার... চতুর্বিংশতি তত্ত্বে চুরমার হয়ে যাচ্ছে সেই সেই
মাথা যারা আজ তত্ত্বতঃ কামোন্মাদ ...পুরুষসত্তার যখন সবচেয়ে বেশি যৌনতা দরকার কিন্তু
অক্ষম। আজ বাঁদরদের কাছে তাই নারীরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছে নিজের শরীর... শেষ
পাড়ানির যৌনতার জন্য বাধ্যত তারা যখন বাঁদরদের বেছে নিচ্ছে তখন তারা যেন বোঝে যে
আজীবন এদের সঙ্গে থাকলে আদতে ক্ষতি হত না বেশি, বরং লাভও হয়ে যেতে পারত বেশ কিছু। অন্তত
কৃষ্ণ নিয়ে যে ইন্সিকিউরিটি তার থেকে মুক্তি পাওয়া যেত তো। অবশ্য বাঁদররাও জানে আজ
তাদের ভালো ইমেজ বানিয়ে কোন লাভ নেই। প্রেম বিরহ হৃদয়ের ভাগাড় ঘেঁটে ঘুণ ধরাবার
দিন নয় অদ্য। আজ dooms day, পাপের ফল
নেই তাই আজ শুধু ধরে ধরে মিনিটে মিনিটে ধর্ষণ ! প্রেমভাগ্যহীন বাঁদররা যখন ধর্ষণ
করে তখন তার কোন অবদমিত হাতৃষ্ণমন বাধ্য হয়ে তা করে তার গহিন বিচার করবে পুরুষ! না
নিজেকেই দণ্ডাজ্ঞা দেবে আয়নায় আর অ্যান্টি সাইকিয়াট্রির অ্যাক্সিসে? ডল পুতুলের
মতো ছিঁড়ে নাও নারী আর পুরুষদের দিকে বাড়িয়ে দাও অ্যালসেশিয়ান ব্যাঘ্র সিংহ যোনি! দেখি
ওরা কত সুপুরুষ...
এমন কেন সত্যি হয় না আহা...!!!
No comments:
Post a Comment