![]() |
চিত্রঋণ : Eryk MalerEr |
লতাবেষ্টিতক
আঁজলার পর আঁজলা তৃপ্তি দিয়ে
এভাবেই রেখেছিলে ক্রমপুঞ্জের সম্ভোগ।
লতার মতো কবলিত....
এক উদ্দাম জঙ্ঘার-রতিকালীন যুবতী
চুম্বনের জন্য তার মুখ নীচে নামিয়ে
রাখে।
মৃদু শীৎকার আর লতার ন্যায় নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরা বাহুর
সূচীমুখ
তার পূর্ব ঝনকের অসামান্য শোভায়
জ্বালতে চায়
মুখ-সৌন্দর্যের নিরীক্ষণে সমাগত
প্রদীপের মিথুন
বৃক্ষাধিরুঢ়ক
অজস্র ফুল ও কুমকুমের অবিভাজ্য
মাত্রায়
কন্ঠ নীচু হয়ে আসে
এক চুম্বনের প্রয়াসে বিস্ময় রচনার
নূপুর যতদূর যায়...
তার উষ্ণতা একান্ত বৃক্ষধাবনের
ভঙ্গিমায়
ছড়িয়ে দেয় কামোন্মত্ত মধুর শীৎকার
অথচ প্রতি বেষ্টন...শাণিত বেষ্টন
তার আলিঙ্গনরত স্বচ্ছজলে
স্তনালিঙ্গন
উর্ধাঙ্গের নগ্নতায় পেখম ফুলিয়ে উঠে আছে পীনোন্নত
স্তনযুগল
নিষ্পেষিত বুকের ছায়াবিধ পরিপূর্ণতায়
এ আবশ্যক টঙ্কারহীন যন্ত্রের খোঁচা
ধৃষ্টা হয়ে যায় নীবী বন্ধন
বলপূর্বক প্রহেলিকার ক্ষরণ আস্বাদ
কামী খেয়ালের প্রচন্ডতায় ছাতির ভাঁজে রাখে
যৌনসঙ্গমরত কোমলতায় তরল হয়ে ওঠা চাঁদ
ঊরুপগুহন
আঙুলরাশিগুলি পরস্পরমুখী
জঙ্ঘার মাংসলরূপে
তীব্র নিষ্পেষণ চিহ্নের দোয়াত
দৈহিক শক্তি ও ক্রিয়ার
সুখবিলাপের
পালঙ্কে ডুবিয়ে
রাখছে সুখকর মুকুরের অবপীড়িতক
শোভার উদ্যানে হংসিনীর
মতো জিতে যাচ্ছে কর্ষিত চুম্বনের অবসর
[বাৎসায়ন রচিত কামসূত্রে যে আলিঙ্গন ও চুম্বন কলার উল্লেখ আছে সেই
কলা থেকেই জন্ম এই কল্পনা ও কবিতা পরিসরের]
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDeleteসেলাম
ReplyDeleteশানুর কবিতা এই পড়লাম । আরও জানতে চাই ওকে । শুভেচ্ছা থাকবে । ও যেন কবিতাকে জয় করতে পারে । কবিতায় আর শানুতে সঙ্গম হোক ।
ReplyDeleteAsadharan!
ReplyDeleteদারুণ শানু। খুব ভালো লাগল।
ReplyDelete